Advertisement
পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বনের গাছ খেকো মোস্তাফার বিরুদ্ধে গাছ কাটার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে মামলা করার হুমকিও দেন মোস্তফা কামাল ।
সরকারি গেজেট ভুক্ত বন ভূমিতে গাছ কাটা ও অপসারন জনিত অপরাধের জন্য গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলায় হয়েছে। বন বিভাগের বন আইনের ১৯৭২ এর ২৬ ধারা ও ১৯৫৯ এর ২৯ ধারায় দেবীগঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বটতলী বিট রাজস্ব মোকাম দেবীগঞ্জ রেঞ্জ এর পিওআর মোকদ্দমা নং ২৬/দেবী/৭ বট।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ঘটনার দিন বটতলী বিটের অধীনে শেখবাঁধা মৌজার সৃজিত সরকারি বাগানে প্রবেশ করে কাদেরের মোড়ের মেলাপাড়া এলাকার মোস্তফা কামাল, খারিজা ভাজনী প্রধানপাড়া এলাকার ময়জদ্দীন ওবিশর আলী, বটতলী এলাকার আকবর আলী ও আব্দুস সাত্তারসহ ৭/৮ জন ৩টি বড় ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে ফেলেন। ওই গাছগুলো ও পরিবেশের ক্ষতির পরিমান প্রায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। ওই গাছগুলো মোস্তফা কামাল ও ময়জদ্দীন করাত দিয়ে গাছ কেটে ফেলেন আর ময়জদ্দীন ও বিশর আলী কেটে ফেলা গাছগুলো পরিবহন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এঘটনা জানতে পেরে বন বিভাগের দেবীগঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন। এরপর বন বিভাগের কর্মকর্তারা গাছগুলো জব্দ করে দেবীগঞ্জ রেঞ্জ অফিসের বটতলী বিটে নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইতিপূর্বেও মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে গাছ কাটার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তার নামে একাধিক মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে। মোস্তফা কামালের সাথে স্থানীয় লোকজনও জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়।
তবে মোস্তফা কামাল গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি গাছতো দুরের কথা গাছের পাতাও ছুঁয়ে দেখিনি। আপনারা সঠিক ভাবে তদন্ত করে দেখেন। আর এ বিষয় নিয়ে নিউজ করলে আমি আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
জানা যায়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র নং পবম (শা-৩) ১০৬/৯২/১০৬৫ এর ০২/১২/১৯৯৯ এর মুলে সরকার ১৯২৭ সনে (সংশোধিত ২০০০) বন আইনের ধারায় বর্নিত ক্ষমতা বলে পঞ্চগড় জেলার সকল ভেস্টেড বন ভূমি সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। জেলা প্রশাসন সকল বেস্টেড বন ভূমির সংরক্ষিত বন ঘোষনার প্রাথমিক কার্যক্রম হিসেবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
দেবীগঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, গাছ কাটার অভিযোগে তাদের নামে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।