Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থঃ- গত ১৯ শে ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ রাত্রি আনুমানিক ০৯.৩০ মিনিট থেকে ২০শে ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৯.০০ টার মধ্যবর্তী যে কোন সময় সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নিচ তলার জানালার গ্রিল ও তৃতীয় তলার দরজার তালা কেটে রুমের মধ্যে প্রবেশ করে ১২ ভোল্টের ব্যাটারী ০৪ টি,১ হর্সের পানির পাম্প ০১টি,০১টি ৪২ ইঞ্চি এল.ই.ডি টিভি, ০১টি মাইক্রোল্যাব সাউন্ড সিস্টেম চুরি করে নিয়ে যায়।
এই চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসীর নির্দেশে সাঁথিয়া থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হয় (যার মামলা নং-২৩, তাং-২২শে ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড)।
উক্ত মালামাল চুরির ঘটনার পর হতে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসীর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মাসুদ আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) জনাব কল্লোল কুমার দত্ত এর তত্ত্বাবধানে সাঁথিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং সাঁথিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কমল কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ)/মোঃ ইয়ামিন আলী, সঙ্গীয় এসআই (নিঃ)/মোঃ একরামুল হক ও অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চুরির ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামী ১। মোঃ আশিক (২৩), পিতা-মোঃ ওমর আলী ,গ্রাম- স্যানাল পাড়া,থানা- বেড়া, জেলা-পাবনা ও ২। মোঃ হারুন(২৮), পিতা-মোঃ আফসার মোল্লা , গ্রাম- করমজা (সরদারপাড়া) , থানা- সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে চুরি যাওয়া মালামাল সহ চোর চক্রের অপর সদস্য ৩।মোঃ শাহজাহান আলী(৪৫), পিতা-মৃত তফিজ উদ্দিন ,গ্রাম- তলট, থানা- সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা এবং ৪। মোঃ জুয়েল আহম্মদ(৪০), পিতা-মৃত আঃ লতিফ , গ্রাম- জোড়দহ (বাঙ্গাবাড়ীয়া) , থানা- বেড়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য আশিকের বিরুদ্ধে ১ টি ও হারুনের বিরুদ্ধে ২ টি মাদক মামলা চলমান রয়েছে। এত অল্প সময়ে এরকম দুর্ধর্ষ চোর চক্র কে গ্রেফতার করায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।


