Advertisement
নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সুবর্ণ জয়ন্তী ও পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত হলো নাটোরের লালপুরের বিলমাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ফখরুদ্দিন - মইনুদ্দিনের আমলে বিদ্যালয়ের জমি থেকে অসহায় ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করলেও প্রধান শিক্ষকের দখলে থাকা জমিতে নতুন বাড়ি করেছেন । বিদ্যালয়ের জমি নিজের বাড়ি ও আঙ্গিনা হিসেবে দখলে রেখে প্রতিষ্ঠার ৫০তম বছরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সুবর্ণ জয়ন্তী ও পূর্ণমিলনী উৎসব পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সুবর্ণ জয়ন্তীর বর্ণাঢ্য র্যালি, কেককাটা, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উত্তোলন, সুবর্ণ জয়ন্তীর বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষনা করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল।
আনন্দ শোভাযাত্রায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় চত্বরে পুনরায় ফিরে আসে। র্যালি শেষে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মহাঃ জিয়াউল হক, নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আখতার হোসেন, লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মোহাম্মদ মনোয়ারুজ্জামান, লালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, গোপালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মন্জুরুল ইসলাম বিমল , গৌরিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ হজরত আলী , বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ সিদ্দিক আলী মিষ্টু , বিলমাড়িয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিকেলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ সুধিজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
বিলমাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম , সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুরহুম আব্দুল বারির ছেলে প্রভাষক শরিফুল ইসলাম বলেন , অবৈধ ভাবে দখলে রাখা স্কুলের জমি হেড মাষ্টার দখল মুক্ত করে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করলে আরো ভালো হতো।