Advertisement
বিশেষ প্রতিবেদক :
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কাউছারিয়া কামিল মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর ২০১৫ সালের ১৮ই অক্টোবর অবসর নিলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামিলীগের সাথে আতাত করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হন আনোয়ার হুসাইন। এমনকি তার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার বয়স না হওয়ায় তিনি ৭ মাস ১৩ দিন অধ্যক্ষ পদের নিয়োগ আটকে রেখে নিজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। এরপর তার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার বয়সে পৌছালে তিনি কৌশলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে কৌশলে সরে আসেন, কেননা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরাসরি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের বিধান নেই।
তিনি সরে যাওয়ার পর মাওলানা রুহুল আমিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হন এবং ২ মাস ২৬ দিন দ্বায়িত্ব পালন করেন।এই সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীদের বিপুল অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন আনোয়ার হুসাইন এমনটাই উঠে এসেছে আমাদের অনুসন্ধানে।
মাদ্রাসার শিক্ষক, অবিভাবক ও সচেতন মহলের দাবি ধুলাউড়ি কাউছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হুসাইনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ অবৈধ। অনতিবিলম্বে তার এই নিয়োগ বাতিল করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য -গেল মাসের ( ২৮ সেপ্টেম্বর) পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কাওছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হুসাইনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ। এরই পরিপেক্ষিতে ঐদিনই ছাত্র জনতার আন্দোলনে অধ্যক্ষ আনোয়ার হুসাইন পদত্যাগ করেন।