Advertisement
মীর শাহাদাৎ হোসাইন:
আজ ১০ ই মুহাররম ১৪৪৭ হিজরি, ৬১ হিজরির ১০ ই মহাররম শহীদ সম্রাট হযরত ইমাম হুসাইন ও সকল শহীদানের শাহাদাতের স্মরণে আজ পবিত্র আশুরা অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনার সুজানগর থানাধীন চলনা আঞ্জুমানে কাদেরিয়া খানকা শরিফ থেকে সকাল ৯ ঘটিকায় মিছিল পাক বেড় হয়ে সুজানগর বাজার হয়ে পুনরায় খানকা শরীফ প্রাঙ্গনে ফিরে আসে।
এবং সেখানে চলনা মসজিদে খানকাহ্-এ ক্বাদেরীয়া এর খতিব সাহেব মাওলানা মুহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম ক্বাদেরী কোরআন হাদিসের আলোকে আহলে বাইত, পাকপাঞ্জতন আঃ,ও আওলাদে রাসুলের রুৎবা,শান,মান মর্যাদা ও কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। এবং মাতম পাক, মিলাদ, কিয়াম ও আওলাদে রাসূলের আদর্শে নিজেদের জীবন পরিচালনা করার আহবান রেখে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান টি সম্পুর্ণ হয়।
উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালিত হয় সিলসিলা এ কাদেরিয়া রাজ্জাকীয়া সাজ্জাদানশীল হুযুর পাক হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসূব আলী আল ক্বাদেরী আল-হাসানী আল-হুসাইনী আল বাগদাদী (মাঃজিঃআঃ) এর পরিচালনায়।
৬০ হিজরির জিলহজ্জ মাসে হোসাইন (আঃ) পরিবার-পরিজনসহ প্রায় ৬০ জন সঙ্গী নিয়ে মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশে রওনা হন।
ইরাক যাত্রার পথে হোসাইন (আঃ) মুসলিম ইবনে আকিলের হত্যার সংবাদ পান। এ সময় তাঁর অনেক সঙ্গী তাকে ছেড়ে চলে যান, কেবল মক্কা থেকে আগত কিছু সঙ্গী তাঁর সঙ্গে থাকেন।
উল্লেখ থাকে যে ৬১ হিজরির মহররম মাসের ২ তারিখে তিনি কারবালায় পৌঁছান, যেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ৪৫ জন অশ্বারোহী ও ১০০ জন পদাতিক যোদ্ধা।
১০ ই মহররম, আশুরার দিন, উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের সেনাপতি উমর ইবনে সাদের নেতৃত্বে ইয়াজিদের সেনাবাহিনী হোসাইন (আ.)-এর মুখোমুখি হয়। হোসাইন (আঃ) তিনটি প্রস্তাব পেশ করেন—মক্কায় ফিরে যাওয়া, ইয়াজিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, অথবা সীমান্তে জিহাদের সুযোগ। ইবনে জিয়াদ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাইয়াতের শর্ত আরোপ করেন।
হোসাইন (আ.) তা অস্বীকার করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এই যুদ্ধে তিনি তাঁর শিশুপুত্রসহ ৭২ জন সঙ্গীর সঙ্গে শাহাদাত বরণ করে দ্বীন ইসলাম কে প্রতিষ্ঠিত করেন, তাই আহলে বাইত আলাইহিসসালাম পাকের মহব্বত ও ভালোবাসা রাখার নামই ঈমান মহান আল্লাহ পাক তার নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাক ও তানার আহলে বাইত পাকপাঞ্জতন আলাইহিসসালাম মাওয়াদ্দাত নিয়ে আমাদের মৃত্যু বরণ করার তৌফিক আতা করেন।