lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫
Last Updated 2025-07-26T16:46:29Z
রাজনীতি

"নেতৃত্ব কোন সুযোগ নয় বরং এটি একটি মহান দায়িত্ব" ---কর্নেল হারুনুর রশিদ।

Advertisement


 


বরগুনা প্রতিনিধিঃ

কর্নেল (অবঃ) হারুনুর রশিদ খান — এমন একটি নাম, যা সততা, শৃঙ্খলা ও আজীবন বাংলাদেশ ও বিশ্বমানবতার সেবার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার একটি সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতা, আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ খান, ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী। তাঁর দাদা, সোমের খান পঞ্চায়েত, ছিলেন জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ এক শ্রদ্ধেয় সমাজপতি।


শৈশব থেকেই কর্নেল হারুন সততা, শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধে গড়ে উঠেছেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে “Sword of Honor” অর্জন করে কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং পরবর্তী ২৬ বছর অসামান্য কৃতিত্ব ও বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়ে দেশের সেবা করেছেন। তাঁর সামরিক জীবনের সর্বোচ্চ পদ ছিল ব্রিগেড কমান্ডার, যেখানে তাঁর নেতৃত্বগুণ ও কৌশলগত দক্ষতা তাঁকে সহকর্মী ও অধীনস্তদের কাছে ব্যাপক সম্মান এনে দেয়। চাকুরী জীবনে তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এডিসি ছিলেন। 


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর কর্নেল হারুন পা রাখেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। জাতিসংঘে ২২ বছরের বেশি সময় কাজ করে তিনি বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এই সময়ে তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও মেডেলে ভূষিত হন, যার মধ্যে অন্যতম হলো বিরল “Bravery Medal”। বিশ্বের বিভিন্ন দ্বন্দ্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে সিনিয়র নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে তিনি সরাসরি বিশ্বনেতাদের পরামর্শ প্রদান করেছেন এবং শান্তিরক্ষার নীতিনির্ধারণে প্রভাব রেখেছেন।


বাংলাদেশকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শান্তিরক্ষী বাহিনী সরবরাহকারী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার নেপথ্যে তাঁর নেতৃত্ব, কৌশল ও কূটনৈতিক দক্ষতা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেনাবাহিনীর বহু প্রজন্ম এবং বাংলাদেশ জাতি তাঁর এই অবদানের জন্য ঋণী—শুধু মর্যাদার দিক থেকে নয়, বরং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও।


তাঁর সেবার কেন্দ্রে ছিল একটি মূল বিশ্বাস—“নেতৃত্ব কোনো সুযোগ নয়, বরং এটি একটি মহান দায়িত্ব।”


এই বিশ্বাসই আজ তাঁকে আবার নতুনভাবে উৎসাহিত করেছে—এইবার নিজ এলাকার মানুষের সরাসরি পাশে দাঁড়াতে।


সম্প্রতি তিনি বরগুনা জেলার হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সামগ্রী নিজ হাতে দান করে আবারও এক উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করেছেন, কীভাবে নেতৃত্ব হতে পারে বাস্তব সহমর্মিতার প্রকাশ।

তাঁর আজীবনের মূলমন্ত্র—“মানুষের সেবা করা দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ প্রকাশ।”


ব্যক্তিগত জীবনে কর্নেল(অবঃ) হারুনুর রশিদ খান একজন আদর্শ স্বামী, পিতা ও দাদা। তাঁর স্ত্রী একজন শিক্ষিত, সম্মানিত গৃহিণী। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে, যাদের তিনি দায়িত্ববোধ, বিনয় এবং মানবিকতার শিক্ষায় গড়ে তুলছেন।


বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা এবং সমগ্র বরগুনা এলাকায় তিনি সবার প্রিয় “হারুন ভাই” নামে পরিচিত একজন মানুষ যিনি তরুণদের অনুপ্রেরণা, প্রবীণদের ভরসা এবং সাধারণ মানুষের আপনজন।তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় এবং গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে। 


কর্নেল (অবঃ)হারুনুর রশিদ খান বলেন,“একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা কেবল রাজনীতিকদের দায়িত্ব নয়—এই দায়িত্ব সব সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নাগরিকের, বিশেষ করে আমাদের তরুণ, ছাত্র-ছাত্রী এবং নারীদের।”


বেতাগী - বামনা -পাথরঘাটা এলাকার একাধিক মানুষ বলেছেন কর্নেল (অবঃ) হারুনুর রশিদ খান অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ । তিনি একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান মানুষ। অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের জন্য  নিবেদিত প্রাণ। আমাদের প্রত্যাশা তিনি আমাদের মাঝে থেকে দেশের স্বার্থে সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করে যাবেন।