lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫
Last Updated 2025-07-10T06:26:29Z
রাজনীতি

পলাশের যুবদল নেতা মনিরুজ্জামানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

Advertisement


 

হাজী  জাহিদ:

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির উজ্জামান মনিরকে বহিষ্কারের একদিন পরই তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার হাসান। 


তিনি বলেন, বুধবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি সাথে আমরা নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ পলাশের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেই। প্রয়োজনে আমরা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও এ বিষয়টি জানিয়ে দিবো। কারন মনির নির্দোষ ঘটনার ভিডিও ফুটেজে মনির কিংবা তার কোন লোকজন এর জড়িত ছিল না বিধায় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় নাই। তাই মামলাটিও একটি মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হয়েছে। 


এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা যুবদলের সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সুমন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার আদেশ দেয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল , দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের আদর্শ ও নীতির পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরউজ্জামান মনিরকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল। পাশাপাশি  মনির উজ্জামান মনিরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পলাশ উপজেলা ও নরসিংদির জেলা বিএনপির অনেকই অভিযোগ করেন দলীয় কোন্দল এর কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভংঙ্গ করে মনির কে বহিষ্কার করে এ বহিষ্কার ছিল দলের পরিপন্থী। কারন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসানের অনুমতি ছাড়া মনির কে বিনা কারনে বহিষ্কার করে এ ব্যপারে নরসিংদী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক সুমন কে প্রশ্ন করা হলে সে সঠিক জবাব দিতে পারে নাই, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মোহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ এর দোহাই দিয়ে ও সঠিক জবাব দিতে পারে নাই  বলে দপ্তর সম্পাদক সুমন দলীয় শৃঙ্খলা ভংঙ্গ করে বলে অনেকে অভিযোগ করে বলে এই বহিষ্কার আদেশ বৈধ হয় নাই। 


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট ঢাকা লিমিটেড কারখানার ড্রেজারে নদীপথে ২টি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল কারখানায় প্রবেশ করে শ্রমিকদের ৬টি কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং মোবাইল, ল্যাপটপ ও মালামাল লুট করে নেয়। হামলায় অন্তত ৭ জন শ্রমিক আহত হন। পরে, পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। 


এ ঘটনায় সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ মনিরুজ্জামানকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে পলাশ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ৫ জুলাই রাতে নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে মনিরুজ্জামান মনিরকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে তাকে কোর্টে তোলা হলে তার মুক্তির দাবিতে আদালত চত্ত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে তার সমর্থিত কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।