Advertisement
ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেছেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে অনেক সময় দেখা যায় পরিবারের দুই-তিন ভাই প্রবাসী অথবা ভালো ব্যবসা বা চাকরি করছেন। অথচ বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ পিতা-মাতা দু’মুঠো খাবারের জন্য দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। তারা বিভিন্ন ভাতার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের কাছে কাকুতি-মিনতি করেছেন। আমাদের শ্রীমঙ্গলে এমন কোনও পরিবার থাকলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উচিত সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে অসহায় এমন বৃদ্ধ পিতা-মাতার পাশে দাঁড়ানো এবং ওই পরিবারের উপার্জনক্ষম প্রবাসী বা চাকুরিজীবী সদস্যদের নাম ধরে এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সমাজের মানুষের কাছে তাদের চরিত্র উন্মোচন করা। তাতে করে একটি ঘটনায় যারা পিতা-মাতার প্রতি অবহেলা করছেন তারা অবশ্যই তাদের পিতা-মাতার প্রতি যতœশীল হবেন। এছাড়া বৃদ্ধ পিতা-মাতার প্রতি অবহেলা করলে রাষ্ট্রীয় আইনে জেল-জরিমানারও বিধান রয়েছে। সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে বৃদ্ধ পিতা-মাতা আমাদের মাথার তাজ।’ তিনি সোমবার (৩ জুন) সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর সম্ভবনা ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুয়েব আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার কর, ৫ নম্বর কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতলিব, ১ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিছলু আহমেদ চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ ছায়েদ আহমদ প্রমুখ। সেমিনারে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
