lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
Last Updated 2025-06-25T05:27:34Z
মানববন্ধন

সালথায় শ্রমিকলীগ নেতা মঞ্জু ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

Advertisement


 


ফরিদপুর প্রতিনিধি:

নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের দোসর এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও ডাকাতি, হত্যা, বিস্ফোরক সহ বহু মামলার আসামি উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মঞ্জু মাতুব্বর এবং তার দোসরদের ক্রমাগত চাঁদাবাজি ক্ষমতার দাপট প্রদর্শন সাধন মানুষদের হাটবাজারে যেতে বাধা প্রদান ব্যবসায়ীদের হুমকি দোকানঘর বন্ধ করে দেয়াসহ সাধারণ বিএনপি পন্থী নেতাকর্মীদের মারধর জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ৮নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 


ভুক্তভোগী মাহিন্দ্র চালক জাহিদ মোল্লা বলেন, আমি ময়েনদিয়া বাজার থেকে মাহিন্দ্র গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে আমাকে আটকিয়ে আমার সঙ্গে থাকা ১৩ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে মঞ্জু মাতুব্বরের লোকজন। সেই সাথে তারা আমাকে ময়েনদিয়া বাজারে যেতে নিষেধ করেন। আমি মঞ্জু মাতুব্বর ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবী জানাই। 



ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী। ময়েনদিয়া বাজারে হাটবারের দিন পেঁয়াজ কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনি। আজ সকালে দোকান গেলে মঞ্জু মাতুব্বরের  কয়েকজন লোক এসে আমাকে দোকান বন্ধ করতে বলে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়। পরে আমি কোনোমতে দোকান টা বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসি। 


৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইদ্রিস মাতুব্বর ও সাধারণ সম্পাদক মো. বিকুল মাতুব্বরের সার্বিক সহযোগিতায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় আনোয়ার হোসেন মোল্লা, ইমামুল,হাফিজাল, কামরুল হোসেন প্রমুখ। 


বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে যেতে পারছেন না, ব্যবসা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। তারা অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।


গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন তারা।



এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. মঞ্জুর মাতুব্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, “মূলত ঘটনাটি আক্কাছ মাতুব্বরের গ্রুপের কিছু লোক ঘটিয়েছে।” তবে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।