lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
Last Updated 2025-05-19T16:10:20Z
আইন ও আদালত

ভুয়া পেশকারকে পুলিশে দিলেন বিচারক

Advertisement


 

বরগুনা প্রতিনিধি:

নারী নির্যাতন দমন আদালতের এক আসামীকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার কথা বলে ভুয়া পেশকার সেজে মোঃ মোশারফ বিশ্বাস ৮৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামীর মা খাদিজা বেগম এ বিষয়টি বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারকের নজরে আনেন। পরে বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস ভুয়া পেশকারকে প্রত্যারনায় অভিযোগে পুলিশে দেন। ঘটনা ঘটেছে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে রবিবার দুপুরে। সোমবার পুলিশ তাকে প্রতারনা মামলায় বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।  


জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা খাদিজা বেগমের ছেলের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে প্রতিবেশী নুরু মিয়া তার শিশু কন্যাকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনে তার নাবালক ছেলে সজীবের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি (৩৫৭/১৭) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারাধীন রয়েছেন। ওই মামলা থেকে তার ছেলেকে অব্যহতি দেয়ার কথা বলে ভুয়া পেশকার সেজে মোঃ মোশারফ বিশ্বাস ও রফিক বিশ্বাস নামের দুইজন তার কাছ থেকে ৮৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু তার ছেলে মামলা থেকে অব্যহতি পাচ্ছে না। পরে খাজিদার সন্দেহ হয়। রবিবার ছিল ওই মামলার ধার্য তারিখ। ওইদিন খাজিদা বরগুনা নারী ও শিশু আদালতে এ ঘটনা খুলে বলেন। পরে আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস পেশকার পরিচয়দানকারী মোঃ মোশারফ বিশ্বাসকে ডেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। বরগুনা থানায় তার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ মামলা হয়েছে। সোমবার পুলিশ তাকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করেছে। প্রতারক মোঃ মোশারফ বিশ্বাসের বাড়ী পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ মোসলেম বিশ্বাস। তিনি আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল এলাকা বসবাস করছেন। 


ভুক্তভোগী খাদিজা বেগম বলেন, আমি একজন হতদরিদ্র মানুষ। মানুষের বাড়ীতে কাজ করে জীবন ধারন করি। আমার নাবালক ছেলেকে প্রতিবেশী নুর মিয়া তার মেয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা জড়িয়ে দিয়েছে। ওই মামলা থেকে অব্যহতি দিবে বলে মোশারফ বিশ্বাস ও তার ভাই রফিক বিশ্বাস পেশকার  সেজে  আমার কাছ থেকে ৮৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েক দিন হলেও আমার ছেলের মামলা থেকে অব্যহতি পাচ্ছে না। এতে আমার সন্দেহ হয়। আমি বিষয়টি বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারককে অবহিত করি। পরে তিনি তাকে মোশারফ বিশ্বাসকে ডেকে পুলিশে দিয়েছেন। 


রফিক বিশ্বাস বলেন, মোশারফ বিশ্বাস আমার চাচাতো ভাই। তিনি ঢাকায় থাকেন। আমাকে তিনি ঢাকা আদালতের পেশকার বলে পরিচয় দিয়েছেন। খাজিদার কাছ থেকে টাকা আনার সময় তিনি আমাকে নিয়ে গেছেন আমি এর বেশী কিছু জানিনা। কিন্তু আমি বুঝতে পারি নাই তিনি একজন প্রতারক।  


বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা শিপু বলেন, মোশারফ বিশ্বাস একজন প্রতারক চক্রের সদস্য। এদের কাজ মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়া। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, নারী শিশু আদালতের বিচারক ভুয়া পেশকার পরিচয়দানকারী মোঃ মোশারফকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।   


বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন,  ভুয়া পেশকার পরিচয় দেয়া  মোশারফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রতারনা অভিযোগ মামলা হয়। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।