Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে চাঁদা নেয়া ও দাবির অভিযোগ এনে আমতলী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান মীর এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মাহবুবুর নামের এক রাজমিস্ত্রী।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রী মাহবুবুর রহমান আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। আদালত মামলা টি আমলে নিয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমতলীকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, আমতলী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোঃ হাবিবুর রহমান মীর কে প্রধান করে ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করেন।
ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রী মাহবুবুর রহমান ও তার চাচাতো ভাই ২০১৫ সালে বাসস্থানের জন্য একটি জমি ক্রয় করেন। তখন তার চাচাতো ভাই মোঃ দেলোয়ার হোসেন তার জমিতে ঘর নির্মান করতে গেলে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দু'জনে মিলে চাঁদা দেন হাবীবুর রহমান মীরকে তারপর একাংশ নির্মান করেন। রাজমিস্ত্রী মাহবুবুর রহমান তার ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মানের জন্য গেলে পুনরায় ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন হাবিবুর রহমান মীর ও তার সাথে লোকজন। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জমিতে থাকা বাজার মূল্য প্রায় ৫৬ হাজার টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়। বসত ঘর নির্মানের জন্য বাজার থেকে ক্রয় করে আনা গাছ যার বাজার মূল্য ৭০ হাজার টাকা তাও জোর পূর্বক নিয়ে যায় চাঁদা র টাকা না পেয়ে।
হাবীবুর রহমান মীর তার লোকজন নিয়ে ঘটখালি বাজার নামক স্থানে গাছ গুলো বিক্রির জন্য নিয়ে গেলে। ওই সময়ে ভুক্তভোগী মাহবুবুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন বাধা দিতে এলে তাদের ওপর মারধর করেন। পরে লোকজন এসে তাদের বাধা দিলে তিনি বলেন ১ লক্ষ টাকা না দিলে বসত ঘরে ভিতরে পুরিয়ে মারার হুমকি দেয়। তিনি এবং তার পরিবার জীবন নাশের হুমকিতে আছেন।
ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রী মাহবুবুর রহমান ন্যায় বিচার, জীবনের নিরাপত্তা ও তার কাছ থেকে লুট হওয়া ক্ষতি পূরণ দাবি করেন।
অভিযুক্ত মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে একটি চক্র তাকে হেনস্তা করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এসকল অভিযোগ মনগড়া,মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রক্রিয়া অনুসারে কাগজ হাতে পেলে সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিবো।