lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪
Last Updated 2024-07-01T17:31:29Z
আইন ও অপরাধ

কচুয়ায় সেই পেশেন্ট কেয়ারের ওটি রুম সিলগালা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা - BD Prokash

Advertisement

 

সূর্য্য চক্রবর্তী(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:


কচুয়ায় সেই পেশেন্ট কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অপারেশন থিযেটার সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত ক্লিনিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।ভ্যাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জী জানান,ক্লিনিকের রেজিষ্টেশেন নবায়ন না থাকায় তাদের কে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অপারেশন থিয়েটার সিল গালা করা হয়েছে। তবে পেশেন্ট কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার অন লাইনে আবেদন করেছে রেজিষ্টেশন নবায়ন করার জন্য বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।



এদিকে আবাসিক ডাক্তার না থাকায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন প্রসূতী মায়ের মৃত্যুর  ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন করেছেন বুধবার নাগাত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আ,স,ম মাহবুবুল আলম ।



উল্লেখ্য কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামের বিলকিস বেগম (৩৫) নামে একজন গর্ভবতী মা গত ১৯জুন (বুধবার) সিজারের জন্য আনুমানিক সকাল ১১ টায় কচুয়ায় পেশেন্ট কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়। সেখানে বাগেরহাট ২৫০ সজ্জ্বা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: অসীম কুমার সমদ্দার ও একই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: ইন্দ্রজিৎ বিকালে ঐ প্রসূতি মায়ের সিজার সম্পন্ন করে বাগেরহাটে ফিরে যায়। পরবর্তীতে প্রসূতি মায়ের রক্তক্ষরণ শুরু হলে ক্লিনিকে কোন দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার না থাকায় ক্লিনিকের ডিপ্লোমা নার্স সারমিন আক্তার তার চিকিৎসা করার চেষ্টা করেন এক পর্যায়ে প্রসুতি মায়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় সে বাগেরহাটের ডা: অসীম কুমা সমদ্দারের পরামর্শে রাত ৯ টার পরে রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন । সেখানে গিয়ে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হলে কিছু সময় পরেই রোগী মারা যায়।



সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক ডা:ফয়সাল হোসেন নামে একজন ডাক্তার ২৪ ঘন্টা থাকার কথা থাকলেও ঐ দিন তিনি ছুটিতে ছিলেন।



এ বিষয়ে মৃত বিলকিস বেগমের স্বামী শামিম ব্যাপারী বলেন, আমার স্ত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল তার কোন ধরনের অসুস্থতা ছিল না।১৭ হাজার টাকা চুক্তিতে সিজারের জন্য আমার স্ত্রীকে কচুয়া পেশেন্ট কেয়ারে ভর্তি করি।পরে ৫ টার দিকে ওটিতে নিয়ে যায় এরপর বাইরে বসে কয়েকবার আমার স্ত্রীর চিৎকার শুনি।পরে নার্স কে জিজ্ঞেস করলে বলে ও কিছু না । পরে আমার স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তান হয় এবং ডাক্তার চলে যায় । পরবর্তীতে রাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে । এ সময় ক্লিনিকে কোন ডাক্তার না থাকায় নার্স এবং আয়া সুস্থ করার চেষ্টা করে এক পর্যায়ে না পেরে বাগেরহাটের ডা:অশীম কুমার সমদ্দারকে ফোন দিলে তিনি দ্রুত খুলনা পাঠানোর ব্যাবস্থা করতে বলেন তার পরামর্শ অনুযায়ী স্ত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যায় । ক্লিনিকের গাফিলতির কারণেই তার স্ত্রী মারা গেছে বলে মৌখিক অভিযোগ করেন।