lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
Last Updated 2023-09-30T13:48:01Z
জাতীয়

পঞ্চগড়ের অবহেলিত ঐতিহাসিক মহারাজার দিঘীটির সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের

Advertisement


আছমা আক্তার আখি,পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:


পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি গরের মধ্যে ভিতরগরে  একটি অন্যতম জায়গা  এখানে অবস্থিত রয়েছে  ঐতিহাসিক মহারাজা দিঘী। 


এই  মহারাজার দিঘির পার ঘিরে অসংখ্য প্রকৃতির সৌন্দর্যের নীলা ভুমিতে বিভিন্ন পাখির কলকাকুলিতে মুখরি সর্বক্ষণ। 

এখানে আসলে মনে হবে যে এক প্রকৃতির   অন্য জগতে এসেছি, ঐতিহাসিক মহারাজার দিঘীর পাড়  ঘেঁষে রয়েছে অসংখ্য বনভূমি।


শীতকালে এখানে  অতিথি পাখি সহ দেশি পাখিদের কলকাকুলিতে মন ভরে যায় সেই সাথে দৃষ্টি কেড়েছে দর্শনার্থীদের , অপরূপ নিদর্শন  যে কারো, যা মন কারবে এত কোনো সন্দেহ নেই। 

তবে কালের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি মহারাজার দিঘীটির।


দেশ-বিদেশের পর্যটকরা মহারাজার দিঘীর নাম শুনে এখানে আসে ঘুরতে কিন্তু এই পৃথ্বীরাজার হাতে গড়া দিঘি ছাড়া আর অন্য কিছুই নেই এখানে। এই ঐতিহাসিক দিঘী ঘিরে রয়েছে মানুষের মনে নানান জল্পনা কল্পনা।


স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় সত্যের যুগে এই দিঘির পাড়ে এসে কেউ কিছু চাইলে তা দিঘির গভীর থেকে ভেসে উঠতো।কিছু অসৎ মানুষের প্রবঞ্চনায় এখন আর নেই সেই রিতী।


এই দিঘীতে রয়েছে অনেক পুরনো মাছ। মাঝেমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টিকিটের মাধ্যমে এখানে অনেক মাছ শিকারীরা মাছ ধরতেও আসে। 


তবে দেশ-বিদেশ থেকে আশা  পর্যটকরা জানান আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি এই ঐতিহাসিক   মহারাজা দিঘী দেখতে  তবে এখানে এসে আমরা বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি এরমধ্যে নেই পাবলিক টয়লেট,  ভালো খাবারের হোটেল, তাছাড়া পর্যটকদের  দাবি সরকারিভাবে এই  ঐতিহাসিক  মহারাজার দিঘীটির সস্কারের কাজ করলে এলাকা সহ পঞ্চগড় জেলার অনেক উন্নতি হবে বলে ধারণা করেন।


সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় জেলা পরিষদ থেকে একটি গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছিল যা বর্তমানে ব্যবহারের অনুপোযোগী ও পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে ,, 


এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা  অমরখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদ আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ  আনোয়ার হোসেন  বলেন পঞ্চগড় জেলার ভিতরগড় এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মহারাজা দিঘীটি দেখতে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে লোক এসে ভিড় জমাচ্ছে।


তবে দর্শনার্থীদের কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এখানে ভালো খাবার হোটেল নেই, বিশ্রামের  জন্য ভালো, গেস্ট হাউস নেই, কোন পাবলিক টয়লেট নেই,  যে কারণে ঘুরতে আশা  অনেকেরই মন খারাপ হয়ে যায়। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত যদি সংস্কারের কাজ করা হয় সেই সাথে বাচ্চাদের বিনোদনমূলক পার্কের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে সরকার যেমন রাজস্ব পাবে সে সাথে এলাকার উন্নতি হবে বলে আমরা মনে করি।