lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩
Last Updated 2023-07-18T16:44:06Z
জাতীয়

বের হওয়ার রাস্তায় বেড়া, দুর্ভোগে ১২ পরিবার, এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ

Advertisement

আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের ১২টি পরিবারের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন স্থানীয় ইউনুস। এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ১২টি পরিবারের মানুষ। পাশের গ্রাম ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।

স্থানীয় আছমা বেগম (৩০) বলেন, এই রাস্তা দিয়ে জমি কিনে বাড়ি করার পর থেকে লোকজন চলাচল করে আসছে। গত কয়েকদিন আগে আমাদের জমির সামনের অংশের মালিক ইউনুস আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা সেই টাকা দিতেও রাজি হই। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি আমাদের টাকা না নিয়ে প্রতি পরিবার থেকে ২ লক্ষ টাকা করে দাবি করেন। সাথে সাথে আমাদের চলাচলের সে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

হালিমা আক্তার (২৮) বলেন, আমার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়াতে আমি বাচ্চাটিকে নিয়ে সঠিক সময়ে ডাক্তারের কাছেও যেতে পারছি না এর চেয়ে ভোগান্তি আর কি হতে পারে। 

জোসনা বেগম (৪৫) বলেন, আমরা জমি কেনার পর থেকে এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করছি। শুধু তাই নয় জমি কেনার সময় জমির যে দলিল করা হয়েছে, সে দলিলে স্পষ্ট লেখা আছে জমির দক্ষিণ পাশে ৪ হাত করে মানুষের চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হবে। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের জমির সামনের অংশের মালিক ইউনুস ও পাশের জমিতে বসবাস করা পেয়ারা বেগম আব্দুর রহিম ও ফয়সাল এরা মিলে আমাদের থেকে অনেক টাকা দাবি করেন এবং আমাদের রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। 

আব্দুল অদুদ বলেন, জমি বিক্রির থেকে শুরু করে প্রত্যেককে বলা আছে এবং দলিলে উল্লেখ্য করা আছে রাস্তার জন্য চার হাত করে জমি ছেড়ে দিতে হবে। সেটি চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হবে। সেটি দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার হয়েও আসছে। হঠাৎ করে সামনের অংশের মালিক ইউনুস বালি দিয়ে ভরাট করার জন্য সকলের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সে টাকা দিতে আমরা রাজিও হ‌ই। কিন্তু টাকা দেওয়ার দিন সে ৫০ হাজার টাকা না নিয়ে প্রত্যেক পরিবার থেকে আরো দুই লক্ষ টাকা করে দাবি করেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি আরো বলেন, আমাদের জমির পাশে অন্য অংশে বসবাস করা পেয়ারা বেগম ও আব্দুর রহিম এবং ফয়সাল ইউনুস এর সাথে যুক্ত হয়ে এই রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে এবং রাস্তা দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দিচ্ছে না। এ কারনে রাস্তা বন্ধ থাকায় জরুরি কাজে বের হওয়া যাচ্ছে না। বেড়া দেয়া লোকজন কোনো কথাই শুনছে না।

স্থানীয় আরেক জন জানান, রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় তাদের অন্য একটি গ্রাম দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামের অনেক মানুষ মাঠে যান। তারাও মাঠে যেতে পারছেন না। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমরা দ্রুত চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তবে রাস্তা বন্ধ করা নিয়ে ইউনুস বলেন, রাস্তার জায়গাটি তাদের জমির মধ্যে পড়েছে। তিনি রাস্তাটি বালি দিয়ে ভরাট করার কারণে তার অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। তার জন্য তিনি তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছেন। তারা সেই টাকা দিয়ে দিলেই রাস্তাটি খুলে দেওয়া হবে।

রাস্তাটি বন্ধ করার বিষয় ইউনুসের স্ত্রী ইতি আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তা টি এখন আমরা খুলে দিচ্ছি। কিন্তু তাদেরকে বলেন তাড়াতাড়ি আমাদের টাকাটা দিয়ে দিতে। তাহলে আর কোন সমস্যা থাকবে না। আব্দুর রহিম ও পেয়ারা বেগম এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা আমার রিলেটিভ, তারা যা করেছে আমার জন্যই করেছে।