Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন যশোরের বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী। গত শনিবার (১লা জুলাই) তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক আঘাত প্রাপ্ত হয় আর এক কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সালাম। এবিষয় বেনাপোল পোর্ট থানা প্রার্থী আব্দুস সালাম তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া সোমবার (৩ জুলাই) রাতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ২নং গেট গাজীপুর গোলদার মসজিদ সংলগ্ন খাঁ বাড়িতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে রেশমা নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর মাথায় আঘাত করেছে আজিম উদ্দিন গাজী ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী। বর্তমানে তিনি খুলনা সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত রেশমা খাতুনের স্বামী মিলন হোসেন জানান, বেনাপোল পৌরসভার ৫নং ওয়াডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী কাছে দীর্ঘদিন যাবত ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার টাকা) পাওনা রয়েছে উক্ত টাকার জন্য আজিম উদ্দিন গাজীর ধর্ম বোন সেলিনা কে আমার স্ত্রী জানালে তিনি আমার স্ত্রীকে গালাগালি করতে থাকে একপর্যায়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি ইতিমধ্যে আজিম উদ্দিন গাজী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আমার স্ত্রীসহ আমাদেরকে বেধরক মারপিট করতে থাকে আজিম উদ্দিন গাজী আমার স্ত্রীর মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করলে তিনি সেখানে বমি করতে থাকে গুরুতর অবস্থা তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এছাড়া আরো আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন মিলন হোসেন, আরমান হোসেন, ছবুর খাঁন।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রেশমা খাতুনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সদর হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রেশমা খাতুনের চিৎকা শুনে আমরা ছুটে আসি এসে দেখি আজিম উদ্দিন গাজীসহ আট থেকে দশজন রেশমা ও তার পরিবারে সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেছে। এলাকাবাসী একত্রিত হলে তাঁরা চলে যায়।
এবিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজীম উদ্দিন গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি রাতে কেনো তাকে কল দেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে রাগ দেখিয়ে কল কেটে দেন।
এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।