lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩
Last Updated 2023-07-09T13:14:56Z
আইন ও অপরাধ

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নাসির উদ্দিন ৩ দিনের রিমান্ডে

Advertisement

মোঃ মজিবর রহমান শেখ

ঠাকুরগাঁও  জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অদম্য বাংলাদেশ কর্ণার সহ অফিসের জানালার কাচ ভাংচুর করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির রেজওয়ানুল ইসলাম প্রধান বাদী হয়ে ঐ দিনই ঠাকুরগাঁও সদর থানায় গ্রেফতারকৃত নাসির উদ্দীন (২৫) এর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন। ৯ জুলাই রোববার নাসির উদ্দিনকে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. রমেশ কুমার ডাগার আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এস,আই (নি:) হিরনময় চন্দ্র তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়,  ৮ জুলাই শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঐ যুবক ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার অদম্য বাংলাদেশ কর্নার সহ বিভিন্ন দপ্তরের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে দেয়। তাকে ধরতে গিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এস,আই মামুনুর রশিদ ও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী হরকান্ত বর্মন আহত হন। নাসির উদ্দিন হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মারাধার গ্রামের মৃত আব্দুল লফিতের ছেলে। ঘটনার পর পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অ্যাপস) মো: আসাদুজ্জামান সহ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যগণ। কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা যেমন, সিআইডি, পিবিআই, ডিবি পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন আলামত ও তথ্য সংগ্রহ করেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও সদর থানার এস,আই (নি:) হিরনময় চন্দ্র বলেন, বিজ্ঞ আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা তৎ সহ পেনাল কোড ১৮৬০ এর দন্ডবিধি ১৮৬, ৩৫৩, ৩৩৩, ৩০৭ ধারায় অপরাধের বিষয়ে মামলা হয়েছে। (আন্তর্ঘাত মূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারী ভবনের তালা ভেঙ্গে অনধিকার প্রবেশ করত: আসবাবপত্র থাইগ্লাস ভাঙ্গচুর এবং সরকারী কর্তব্য কাজে বাধা দান গুরুতর আঘাত করার অপরাধ)। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।