Advertisement
মোঃ বাবুল রানা
গত কয়েকদিন ধরে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভোলা জেলা কারাগারে বহাল কারা সহকারি সুমনের নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে সাইদুজ্জামান সুমন কারাগারের অফিসে বসে মাদক সেবন কারাবন্দীদের পাশাপাশি কারারক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। নারী কারারক্ষীর সঙ্গে শ্লীলতাহানি অথবা ভুল বিল বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ সহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।
এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই জেল সুপার ভোলা জেলা কারাগার কর্তৃক একটি প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য অনুসন্ধানে গেলে,
জেল সুপার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, ভোলা জেলা কারাগারে কর্মরত কারা সহকারী সাইদুজ্জামান সুমন এর বিরুদ্ধে অফিসে বসে মাদক সেবন, কারাবন্দি ও কারারক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার,নারী কারারক্ষীর শ্লীলতাহানি ও ভুয়া বিল বানিয়ে টাকা আত্মসাথের বিষয়ে নিম্নসাক্ষরকারী/ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কেউ কোন অভিযোগ দাখিল করেনি। এবং সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় আমরা একটি প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছি কারা সহকারী মোঃ সাইদুজ্জামান সুমন গত ১৩/০৬/২০২০ খ্রিঃ তারিখ হতে অত্র কারাগারে কর্মরত আছেন। যে সংবাদ গুলো প্রচার হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানান তিনি, ভুয়া বিল বানিয়ে টাকা আত্মসাতের বিষয়ের রেজিস্টার পর্যালোচনা ও ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় তারা যথাসময়ে বিল পেয়েছেন। গাড়ি চালক মোঃ মাহবুবুর রহমানের ওভারটাইমের বিল সংক্রান্ত তথ্যটি ও সঠিক নয় বলে জানান মাহবুবুর রহমান নিজেই, তিনি আরো বলেন তার প্রাপ্য অনুযায়ী বিল সময় মতই পান। কারাবন্দীদের সিট বাণিজ্য ও খাবারে অনিয়মের কোন সুযোগ সাইদুজ্জামান সুমন এর নেইবলে জানা যায়, সংবাদ প্রচার এর বিষয় কারাসহকারি সুমনের বিরুদ্বে কোন তথ্যসূত্র'র ভিত্তিতে সংবাদ করছেন,প্রশ্ন করা হলে তিনি তার কাছে সব ডুকুমেন্ট আছে বলে দাবি করলেও দেখাতে পারেননি, কারাকৃতপক্ষের কাছ থেকে, এবং মাদক সেবন এর অভিযোগের বিরুদ্বে একটি ডোপ টেস্ট রিপোর্টে দেখে মাদক সেবনের বিষয় কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি, এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নী। অভিযুক্ত সাইদুজ্জামান সুমন,এর কাছে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, কয়েকদিন আগে ভোলা জেলা কারাগারে সাম্মি আক্তার ভোলা জেলা কারাগারে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন। সাম্মি আক্তার অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলেন গভীর রাতে মাঝে মাঝে তার বাসায় কারাগারে কর্মরত পুরুষদের দেখা যেত। এই বিষয় আমি জেল সুপার নাসির উদ্দিনকে জানাই। তারপরের দিন রাত আনুমান ১২ টার দিকে সাম্মি ও দুইজন পুরুষসহ হাতেনাতে ধরা খায়। জেল সুপাররা তাদেরকে ভোলা থেকে বিভিন্ন কর্মরত জায়গায় পাঠান। সাম্মি আক্তার কাশেমপুর কারাগারে এখন কর্মরত অবস্থায় আছেন। তিনি আমার সাথে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমার নামে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন যা আমার হ্যাঁপূর্ণ হয়। আমার নামে যে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে সে অভিযোগগুলো কোন সততাই এখনো পায়নী কারাগারের কতৃপক্ষ করা।
জেল সুপার নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, সাইদুজামান সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে আমরা সংবাদ পেয়ে একটি টিম গঠন করি কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগগুলোর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা তাকে হ্যাপূর্ণ করার জন্য এইগুলো করা হচ্ছে।