Advertisement
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর দুমকীতে আগুনে পুড়ে গৃহবধূ হালিমা আক্তার মিমের মৃত্যুর চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে থলের বেড়াল বেড়িয়ে এসেছে।
মৃত্যুর ঘটনার সাথে জড়িত আরিফ সিকদার (৩০)নামে এক যুবককে গত রবিবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার মোড় অন্যদিকে নিয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার(১৩জুন) সকালে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, আরিফ হোসেন সিকদার দুমকী উপজেলার কার্তিকপাশা গ্রামের প্রয়াত হামেদ সিকদারের ছেলে। আরিফ সিকদারের কথ্যমতে অগ্নিকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলেন হালিমা আক্তার মীম নিজেই। আর ফিল্মি স্ট্যাইলে এ পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছিলেন তাঁর আপন চাচাতো ভগ্নিপতি আরিফ সিকদার। তিনি জানিয়েছেন শাশুড়ি ও ননদের স্বামীকে ফাঁসাতে এ মীম তাকে দুমকীর ভাড়াটে বাসায় ফোন করে ডেকে আনেন। তাঁর পরিকল্পনা ছিলো নিজে অক্ষত থেকে শাশুড়িকে দোষীসাব্যস্থ করা। এ পরিকল্পনা সফল না হয়ে মীমের নিজেরই পরিকল্পনায় নিজে ফেঁসে প্রাণ গেল তার।
শাশুড়ি নির্দোষের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, মামলায় যেহেতু শাশুড়িকে প্রধান আসামি করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আমরা এখনই তাঁকে নির্দোষ বলতে পারি না। এখনও তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে যদি তাঁর সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে চার্জশিটে তাঁর নাম বাদ গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ আদালত নিবে।
উল্লেখ্য গত ৮ জুন দুমকীর নতুন বাজার এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীমসহ তার ছয় মাস বয়সী শিশুকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দগ্ধদের প্রথমে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে ওই গৃহবধূর শাশুড়ির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রাতে শাশুড়িকে এবং রবিবার রাতে ঢাকা থেকে আরিফ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।