Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ:
ভাতিজার কাছে পাওনা টাকা পাবার অভিযোগে কাকা’র লাশ বহনকারী খাটিয়া আটকায় পাওনাদার। এক ঘন্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে লাশ দাহ করা হয়।
জানা গেছে,পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর গ্রামের বিখ্যাত নিত্তি কারবারি প্রয়াত বসন্ত দাসের ছেলে কার্ত্তিক চন্দ্র দাস দুলাল (৬৯) বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে মারা যায়। খবর পেয়ে তার ভাতিজা রিপন কুমার দাসের পাওনাদার দাবী করা পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা এলাকার পান্না সরকারসহ কয়েক জন শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে টাকা পরিশোধ না করলে লাশ দাহ করতে দেয়া হবেনা বলে কার্ত্তিকের পরিবারকে জানায়। ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবগত করা হলে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মঞ্জুরুল আলম ঘটনাস্থলে এসে পাওনাদারদের সমাধানের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর চাটমোহর মহাশ্মশানে নিয়ে কার্ত্তিক দাসকে দাহ করা হয়।
রিপনের কর্মচারী কনক জানায়, পান্না,দায়েন এবং শফির সাথে রিপন দাদা চাউলের ব্যবসা ছিল। সে কারণে ব্যাংকের সাদা (অলিখিত) চেক দেয়া হয়েছিল। আমাদের হিসাবে খাতা অনুযায়ী ৬ লক্ষাধিক টাকা পাবে পান্না গং কিন্তু তারা ২০ লক্ষ টাকা দাবী করছে।কনক আরও জানায়, কার্ত্তিক কাকার নিকট থেকে রিপন ৩৯ লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে লা-পাত্তা হয়ে যায়।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী অশোক চক্রবর্ত্রী জানান, কার্ত্তিক দাদার ভাতিজা রিপন কুমার দাসের (পিতা মৃত গণেশ চন্দ্র দাস) চাউলের ব্যবসা ছিল। তার সুবাদে তার লেনদেন থাকতে পারে। কিন্তু কার্ত্তিক দাসের সাথে পান্না গংদের কোন আর্থিক লেনদেন ছিল না।