lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Last Updated 2025-09-28T13:06:40Z
ব্রেকিং নিউজ

ডোমারে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ

Advertisement


 


মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে নিদিষ্ট সময়ের আগেই ছুটির দেওয়ার প্রতিবাদ করায় শিক্ষক কে বিদ্যালয়ের ভীতরে রেখেই তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রবিবার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসার কার্যালয়ে এক শালিশী বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। 


জানা গেছে, উপজেলার ৪নং জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের বেতগারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে নিদিষ্ট  সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার (২৫.০৯.২০২৫ ইং)ঘটনার দিন প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম ১২টা ৩০ মিনিটে স্কুল থেকে চলে যান। সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্য শিক্ষকরা দুপুর তিনটায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেয়। এ সময় সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কামাল পাসা নিদিষ্ট সময়ের আগেই ছুটি দেওয়ার বিষয়টি প্রতিবাদ করেন। বলেন,টিও স্যার চারটা পর্যন্ত স্কুলে থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তোমরা আগে ছুটি দিলে টিও স্যারকে আমি ফোন করে জানাব। কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলাম ও হাসিবুল ইসলাম প্রতিবাদকারী শিক্ষক কামাল পাসা কে বিদ্যালয়ের ভিতরে রেখেই মুল গেটে তালা দিয়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে অন্য চাবি দিয়ে সহকারী শিক্ষিকা গোলাপি বেগম সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কামাল পাসাকে মুক্ত করেন। এ নিয়ে আজ রবিবার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কার্যালয়ে সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম জানান, বিদ্যালয়টি উপজেলার একমাত্র মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে। শিক্ষক সংখ্যা ১১ জন।  শিক্ষার্থী ২৪০ জন। ৬ষ্ট ২৬,৭ম ১০, ৮ম ১৫ জন। 

এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন,শিক্ষকদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল,  বিষয়টি টিও স্যার মিমাংসা করে দিয়েছেন। অনেক দিন থেকে বাত ব্যথায় ভুগছি। আগে ১৯/২০ হয়েছিল তব ইদানীং ঠিক হয়ে গেছি। 


বিদ্যালয়টির সময়ের আগেই  ছুটি দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে  সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান রুবেল জানান,আমি অনেক চেষ্টা করেছি।হেড মাষ্টারের পায়ে একটু সমস্যা আছে। 


এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে  বলেন, যতটা অভিযোগ উঠেছে, ততটা পায়নি। তবে মিমাংসা করে দিয়েছি। বলেছি, এটা সর্বশেষ সুযোগ।