lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
Last Updated 2025-07-24T13:20:35Z
শিক্ষা

প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডার গার্ডেনসহ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে গঙ্গাচড়ায় মানববন্ধন

Advertisement


 


গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনসহ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদ দেওয়ায়  এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে গঙ্গাচড়ায় মানববন্ধন করেছে উপজেলার কিন্ডারগার্ডেন ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-অভিভাবক। বৃস্পতিবার দুপুরে গঙ্গাচড়া বাজার জিরো পয়েন্টে “জুলাই বিপ্লবের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই” এ শ্লোগানে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের শুরুতে মাইলষ্টোন স্কুলের শহীদ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের স্বরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। গঙ্গাচড়া শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ  শ্রী প্রতাব চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গঙ্গাচড়া পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ, প্রাইম রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুকুল মিয়া, পীরেরহাট পাইলট কিন্ডারগার্ডেনের পরিচালক সুধীর চন্দ্র, বর্ণমালা প্রিক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন, ভিশনারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসাইন প্রমুখ। শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বলেন, ২০০৯ সালে সরকার অনুমতি দেওয়ার পর থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনসহ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে আসছে। ১৭ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এতে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানা স্কুলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অথচ প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়ালেখা করে। এসব স্কুলে সারাদেশে প্রায় ১২ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণে বাদ দেওয়ায় তাদের মেধার মূল্যায়নকে আটকে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যহীন সরকারের কাছে বৈষম্য প্রত্যাশা করিনা। বক্তারা পরিপত্রটি প্রত্যাহার ও বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। দাবি না মেনে নিলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন। মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধার কাছে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।