lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
Last Updated 2025-07-24T09:08:12Z
আইন ও অপরাধ

সুজানগরের বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ কে গুরুতর আহতকারি শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ঢাকায় আটক

Advertisement


 


পাবনা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পাবনার সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রউফ কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সুজানগরের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র হাতে ও বিএনপির সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা সাথে উঠা ছবি  ভাইরাল হয়েছে। আটককৃতরা হলো কামাল শেখ,আবু তালেব খা ও লিটন খা। একই ঘটনায় কিছুদিন পূর্বে এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মজিবর খা নিজ বাড়ি থেকে র্যাবের  হাতে আটক ও ঘটনা পর পরই নয়ন খা গ্রেফতার হয়। এদিকে শেখ আব্দুর রউফ গ্রুপের ১৩ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে এর মধ্যে এক এইচএসসি পরিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করে বাকি ১২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। একাধিক সূত্র জানায়, আটককৃতরা সুজানগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বাজারের দোকানঘর অবৈধভাবে দখল, ভাঙচুর,চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। পূর্বে গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামি মজিবর খার নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে জামায়াতের নায়েবে আমির ও সেক্রেটারি সহ নেতাকর্মীদের মারপিট করে। মোবাইলে কথা বলা বিষয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রউফ কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেন বলে জানান, মিসেস শেখ আব্দুর রউফ। 


সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবর রহমান জানান, আটক কৃত থানায় হস্তান্তর করেছে, আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে। এদিকে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব এর সাথে যোগাযোগ ও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বিএনপির প্রবীণ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,এ পর্যন্ত যারা র্যাবের হাতে আটক হয়েছে তারা বিএনপি ও সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব এর অনুসারী পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। উল্লেখ্য গত ৯ জুলাই বুধবার সুজানগর পৌর বাজারের নন্দিতা সিনেমা হলরোডে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ সহ কয়েকজনকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল  সরেজমিনে তদন্ত করে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করেন। শেখ আব্দুর রউফ গুরুত্ব আহত অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।