lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
Last Updated 2025-06-24T13:47:10Z
ব্রেকিং নিউজ

যাত্রীদের ৯৯৯ ফোনে জাটকা ইলিশ জব্দ:দন্ড ছাড়াই পরিবহন বাস ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ!

Advertisement


 

বরগুনা প্রতিবেদক:

যাত্রীদের ৯৯৯ ফোনে ইমরান ট্রাভেলস পরিবহন নামের একটি বাস গাড়ী থেকে পরিবহন নিষিদ্ধ সাড়ে ৮ মণ জাটকা ইলিশ আমতলী থানা পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ জব্দ করেছে। কিন্তু তারা বাস স্টাফ ও চালককে কোন দন্ড ছাড়াই ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। পরে ওই ইলিশ এতিম খানায় বিতরন করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে কুয়াকাটা-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায়।  


জানাগেছে, ইমরান ট্রাভেলস নামের একটি যাত্রীবাহী পরিবহন বাস কুয়াকাটা থেকে ১৩ টি ককসিটে সাড়ে ৮ মণ জাটকা ইলিশ বাঙ্কারে ঢুকিয়ে নিয়ে আসে। এতে গাড়ীতে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে বাসের পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হয়। যাত্রীদের বাসে টেকা কষ্টকর হয়ে পরেছে এমন অভিযোগ যাত্রীদের। ওই বাসের এক যাত্রী ৯৯৯ ফোনে পুলিশকে জাটকা ইলিশ পরিবহনের খবর দেয়। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসের ক্লাষ্টার অফিসার মোঃ আশিকুর রহমান ও মাঠকর্মী হিমেল কুয়াকাটা-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় অভিযান চালিয়ে বাসটি আটক করে। পরে বাসের বাঙ্কারে থাকা ১৩ টি ককসিটে সাড়ে আট মণ জাটকা ইলিশ জব্দ করে। জব্দকৃত ইলিশ ৩২ টি এতিম খানায় বিতরন করে দেয়া হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, মাছের গন্ধে বাসে বসবাসের পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হয়। কিন্তু পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ বাস কর্তৃপক্ষকে কোন দন্ড ছাড়াই ছেড়ে দিয়েছেন। এতে বাসে মাছ পরিবহন বন্ধ হবে না। আরো উৎসাহিত হবে। 


যাত্রী রোমান ও শিউলী বলেন, জাটকা ইলিশ পরিবহন বাস গাড়ী পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ আটক করলো, কিন্তু তারা দন্ড ছাড়াই বাস ছেড়ে দিয়েছে। এতে পরিবহন গাড়ীতে মাছ পরিবহন বন্ধতো হবেই না আরো উৎসাহিত হবে। 


আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসের ক্লাস্টার অফিসার মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, জব্দকৃত ৩’শ ৩০ কেজি জাটকা ইলিশ ৩২ টি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে। তবে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে বাস ছেড়ে দেয়া হয়েছে।  


আমতলী থানায় ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, পরিবহন গাড়ীর যাত্রীদের ৯৯৯ ফোনে ইমরান ট্রাভেলস নামের একটি বাস গাড়ী আটক করে পরিবহন নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গাড়ীর বিরুদ্ধে মামলা দিলে যাত্রীদের যেতে ভোগান্তি হতো। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে বাস ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 


আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, যারাই অভিযান পরিচালনা করেছেন তাদের বাস চালক ও স্টাফদের বিরুদ্ধে দন্ড দেয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কেন এমন হলো বিষয়টি জেনে দেখবো?