Advertisement
সালাম মুর্শেদী,(পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বোচিত হত্যাতযজ্ঞ ও হামলার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে আটোয়ারীর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ওই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়৷ মিছিলটি আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে রাস্তা অবরোধ করে রাস্তার দুই পাশে জড়ো হয় দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থী। এসময় তাঁরা পুরো মুসলিম জাতিকে জাগ্রত হয়ে ফিলিস্তিনের নিরপরাধ শিশু ও মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
তাঁরা বলেন, ইসরায়েলের বর্বোচিত হত্যাযজ্ঞ ও হামলার কারণে নিষ্পাপ শিশুরাও রেহাই পাচ্ছেনা। নামাজরত অবস্থায় মসজিদে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে। শরনার্থী শিবিরে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে। গাজাকে পুরোপুরি ভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পুরো বিশ্বের মুসলিম জাতি যদি এর প্রতিবাদ না করে তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আজকের দিনগুলো কালো অধ্যায় হিসেবে উপস্থাপিত হবে।
তাঁরা আরো বলেন, ইসরায়েলের বর্বোচিত হত্যা ও রকেট হামলার জন্য মৃত মানুষের লাশ পাখির মতো আকাশে উড়ছে। এর চেয়ে নির্মম গণহত্যা আর হতে পারেনা। ইসরায়েলি সব পণ্য বর্জন করে তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যয় করে দিতে হবে। আমাদের টাকায় তারা পণ্য বিক্রি করে আবার সেই টাকা আমাদের মুসলিম ভাইদেরকে হত্যার জন্য ব্যবহার করে। তাই ইসরায়েলি সব পণ্য বয়কট করার আহবান জানানো হয়।
উল্লেখ, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এ যুদ্ধে ৫০ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ১ লাখ ১৫ হাজার জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাজুড়ে একই রকম বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছেন সব মুসলিম দেশগুলো।
বিক্ষোভকারীরাও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া গাজা পুনর্গঠনের জন্য উপত্যকাটি থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরব দেশগুলো এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো একে জাতিগত নির্মূলের পরিকল্পনা বলে অভিহিত করেছেন।