Advertisement
মীর ইমরান -মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ শিবচরে কর্মরত সাংবাদিকদের উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলমত, ভেদাভেদ ভুলে শিবচর প্রেসক্লাবের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় উপজেলার সকল সাংবাদিকরা একাত্বতা ঘোষনা করেছেন।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টে এ আলোচনা সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এ সিন্ধান্তের ফলে শিবচরে পেশাদার সাংবাদিকদের একটি বৃহৎ অংশের দীর্ঘদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়েছে।
প্রথম অধিবেশনে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা শুরু হয়।
প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন শিবচর প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি বিজয় টিভি মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি আবুল খায়ের খান, সাংবাদিক সাইদুজ্জামান নাসিম, ইত্তেফাক পত্রিকার শিবচর প্রতিনিধি প্রণব কুমার সাহা, দৈনিক আজকের দর্পণ, মুভি বাংলার মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মীর ইমরান, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির ও জেএ টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ রাজু আহমেদ খান, বঙ্গ টিভির ষ্টাফ রিপোর্টার রবিন চৌধুরী,আরটিভি'র শিবচর প্রতিনিধি মোঃ খলিল মিয়া, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রাজা, চ্যানেল এস শিবচর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ নাজমুল হুসাইন জয়,ঢাকা রিপোর্ট ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি মোঃ রবিউল হাসান,মানবজমিন পত্রিকার শিবচর প্রতিনিধি বিএম হায়দার আলী,সকালের বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক জায়েদ ইবনে শহিদ, দৈনিক জবাবদিহি শিবচর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহিন বিন আনিছসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন ।
এ মুক্ত আলোচনায় শিবচর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের একই প্লাটফর্মে যুক্ত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। ফলস্রুতিতে ৩৭ জন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে কর্মসূচিতে একাত্বতা পোষন করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা শিবচর প্রেসক্লাবের দীর্ঘ ১৭ বছরের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে দুই চাঁদাবাজ একেএম নাসিরুল ও প্রদুৎ শিবচর প্রেসক্লাবকে পৈতৃক সম্পত্তিতে রুপান্তর করে রাখেছিল । বেছে বেছে নিজেদের পছন্দের লোক, শিবচরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদেরো সাংবাদিকতার মহান পেশায় নিয়োজিত করেন এবং অপেশাদারদের প্রেসক্লাবের সদস্য করেন ঐ দুই দালাল। মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে। বিগত দিনের একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে লেজুড়বৃত্তি করে সৎ, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান ও সুযোগ বুঝে পেশাদার সাংবাদিকদের শারীরিক মানসিক নির্যাতন, হামলা, মামলার করেন ঐ দালাল নাসিরুল ও প্রদুৎ । ছাত্র - জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন নাসিরুল ও প্রদুৎ । যার কারনে এখন তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, শিবচর উপজেলায় এক প্রকার চরম বৈষম্য সৃষ্টি করে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে নাসিরুল ও প্রদুৎ । যার জন্য আজকে প্রেসক্লাবের নেতৃকারিদের জনতার চোখের আড়াল,পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এভাবে একটি প্রেসক্লাব চলতে পারেনা। সাংবাদিকরা এ বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে প্রেসক্লাবকে পুনর্গঠিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় জনকণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ কামরুল ইসলাম, এশিয়ান টিভি’র সাংবাদিক রুবেল মোড়ল,, দ্য ডেইলি ট্রাইবুনাল পত্রিকার সাংবাদিক আলীম শিকদার, বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক মো. লিটন খান, দৈনিক খবর পত্র পত্রিকার সাংবাদিক আজিজুল হক, দেশের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক আলো আক্তার, সকালের সময় পত্রিকার সাংবাদিক নাজমুল হোসেন লাবলু, দৈনিক আইন বার্তা মো. খান ই আজম, দৈনিক ঘোষনা পত্রিকার সাংবাদিক রাকিবু হাসান রকিসহ শিবচর উপজেলা ৩৭ জন প্রিন্ট ও ইলেকট্রন মিডিয়া সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।