lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
Last Updated 2025-10-14T13:03:56Z
ব্রেকিং নিউজ

৩ দফা দাবি ও শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে পোরশার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন

Advertisement




ইসমাইল হোসেন, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে  শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে পোরশা উপজেলাজুড়ে সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে কর্মবিরতি পালন করছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা । উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসায় সকাল থেকে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। বেসরকারি শিক্ষকদের সংগঠন সম্মিলিত শিক্ষক সমিতি পোরশা শাখা এই কর্মসূচির ডাক দেন।


সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার  গাংগুরিয়া ডিগ্রী কলেজ, ঘাটনগর পাহাড়ি পুকুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ,  বড় গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, গাংগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পোরশা হাই মাদ্রাসা কাম উচ্চ বিদ্যালয়,  কাতিপুর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়, পলাশবাড়ী চাচাইবাড়ী কামিল মাদ্রাসা,গুন্দইল দাখিল মাদ্রাসা, বালিয়াচান্দা উচ্চ বিদ্যালয়, ,  কালাইবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে  সকাল ১০টা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা  প্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সভা ও শিক্ষক কমনরুমে বসে থেকে কর্ম বিরতি পালন করেন। 

জানতে চাইলে তারা বলেন, শিক্ষকরা দেশের ভবিষ্যৎ তারা আদর্শ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের ওপর নির্যাতন করা লজ্জাজনক ও অমানবিক। তারা শিক্ষক নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


এব্যাপারে কথা হলে পোরশা উপজেলা মাধ্যমিক  শিক্ষক সমিতির সভাপতি একরামুল হক শাহ্  জানান,শিক্ষক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে আমাদের সমস্ত শিক্ষক সমাজকে অপমানিত করা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ, সকল সার্বিক ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া না হবে আমরা আমাদের কর্মবিরতি সহ আন্দোলন অব্যাহত রাখবো। 

গাংগুরিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন আমাদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের ন্যায্য দাবি বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা আদায়ের জন্য ঢাকায় আন্দোলন যত আছে । এ আন্দোলনের সাথে আমরা পোরশা উপজেলা শিক্ষক সমাজ একাত্মতা ঘোষণা করছি। এবং গতকাল শিক্ষকদের যে নির্যাতন হয়েছে তার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করি এই অন্তবর্তীকালীন সরকার দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের ক্লাস মুখি করবেন। শিক্ষকেরা যে মানুষ গড়ার কারিগর প্রজ্ঞাপন জারি করে মনোবল চাঙ্গা করবেন।

মিছিরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরনবী আজাদ  বলেন, অবিলম্বে শিক্ষক নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরে যাবোনা। 

বড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক ময়েজ উদ্দিন বলেন আমাদের ২০% বাড়ি ভাড়া ও ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা দিতে সরকারের এত গড়িমসি আর সহ্য করবোনা। বৈষম্য হীন দেশে আর বৈষম্য চাই না।


এ বিষয়ে পোরশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা , শামসুল কবির জানান, বিষয়টি আমি পত্র-পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়া জানতে পেরেছি। এতে আমার নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। আমরা চাই তারা ক্লাসে ফিরে যাক,  সরকার  তাঁদের  দাবি দাওয়ার বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। 


কর্মবিরতির কারণে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একই পাঠ্যপুস্তক, সিলেবাস ও একই বোর্ডের অধীনে সনদপত্র অর্জন করি। অথচ আমাদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য এটা মেনে নেয়া যায়না।


আমরাও চাই আমাদের শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে তাদেরকে ক্লাসে ফিরিয়ে আনা হোক। দীর্ঘদিন এরকম চলতে থাকলে আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে। আমারা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই, পাঠদান চাই।