lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
Last Updated 2025-06-13T08:56:23Z
ব্রেকিং নিউজ

ঈদের আগের দিনেই কারামুক্তি, এরপর থেকেই তাণ্ডব

Advertisement


 


হাজী জাহিদ, নরসিংদী:

গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা, বাড়িঘরে হামলা ও ‘আওয়ামী লীগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ নামে গোপন বৈঠকের অভিযোগ


নরসিংদীর সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নে বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া তিন আসামির বিরুদ্ধে আবারও সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈদের আগের দিন কারামুক্ত হয়ে তারা এলাকায় ফিরে শুরু করেছেন অস্ত্রের মহড়া, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, লুটপাট এবং গোপন বৈঠকের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা।


২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর নরসিংদী সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া মামলার (নং ১২/২০২৪) আসামিরা হলেন সুমন মিয়া। তার বিরুদ্ধে The Explosive Substances Act, 1908 ও The Penal Code, 1860 অনুযায়ী বিস্ফোরক বহন ও সহিংসতার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।




এলাকাবাসী জানান, আসামিরা ঈদের আগের দিন রাতে এলাকায় ফিরে আসার পর থেকেই শুরু করেন দখল, লুটপাট ও হামলা। রাতে গোপন বৈঠক করে ‘আওয়ামী লীগকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা’র নামে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।


নজরপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “ঈদের দিনই কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। তারা বলেছে, যারা কথা বলবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


অভিযোগ রয়েছে, এই তৎপরতার নেতৃত্বে আছেন ইসমাইল হোসেন ওরফে ইসমাইল কোম্পানি—নজরপুরে যার নাম শুনলেই আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনিই ছাত্র আন্দোলন দমন, ভিন্নমতের লোকদের ওপর হামলা এবং দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে এলাকায় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখছে।


স্থানীয় সূত্র বলছে, মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এই চক্রটি আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে।”

সদর থানার এক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করে অভিযান চালানো হচ্ছে।”


এলাকাবাসীর দাবি, আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হোক। তা না হলে এলাকাজুড়ে আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ বসবাস নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

 অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়ার চেষ্টা করা না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


দুই হত্যা মামলাসহ দশ মামলার আসামি আওয়ামী লীগের দোসর শীর্ষ সন্তাসী শূটার সুমন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।