Advertisement
সূর্য্য চক্রবর্তী(বাগেরহাট) প্রতিনিধি
অবশেষে কচুয়ায় দুই ট্রাক কয়লাসহ ব্যবসায়ী আটক এর ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আইনগত ব্যবস্থাগ্রহনে পুলিশ প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা দেখে হতভম্ব হয়েছে এলাকা বাসী।
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধার বাজার এলাকায় আমদানী করা দুই ট্রাক কয়লাসহ সোমবার সকালে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। অবৈধভাবে কয়লা ব্যবসায়ী আঃ ছালাম সুমন (৩২) উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত মাজহারুল ইসলামের ছেলে। সোমবার সকালে বাধাল বাজার এলাকায় ওই কয়লা আনলোড করা কালে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কে খবর দেয়। এ খবর পেয়ে ইউএনও নির্দেশে কচুয়া থানা পুলিশ কয়লাবোঝাই ট্রাক ২টিসহ ব্যবসায়ী সুমন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর সোমবার দিন ও রাত পার হয়ে মঙ্গলবার রাত সাতটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামলা দায়েয়ের জন্য আদেশ নামা কচুয়া থানায় পাঠায় পরে বুধবার সকালে কচুয়া থানা পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। এলাকাবাসী জানায়, ব্যবসায়ী সুমন স্থানীয় সার ডিলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বক্কর শিকদারের ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও সে অনৈতকি ব্যবসায় লিপ্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়লাসহ আটক হওয়ার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি চক্র নানা অপতৎপরতা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এই কয়লা রামপাল তাপবিদ্যাৎ কেন্দ্রে থেকে পাচার হয়ে আসতে পারে । যার জন্য বৈধ্য কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছাঃ তাসমিনা খাতুন বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী আঃ ছালাম সুমন কে কয়লার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কয়লা ক্রয় করে এনেছে বলে জানালেও ক্যাশমেমো বা কয়লা ক্রয়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। এবং কোথা থেকে ক্রয় করেছেন তাও জানাতে পারে নাই। ট্রাক চালকরা বলেছেন নওয়াপাড়া এলাকা থেকে এ কয়লা ট্রাকে বোঝাই করে আনা হয়। যা ছিল সন্দেহ জনক। এ কারনে কয়লাবোঝাই ট্রাক ২টি ও সুমন কে আটক করে থানায় রাখা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থ গ্রহনের জন্য সোমবার সকালেই ওসি কে বলা হয় । কিন্তু ওসি মামলা না নিয়ে নানা ধরনের কথা বার্তা বলে। অবশেষে বুধবার সকালে পুলিশ মামলা দায়ের করেছেন।
কচুয়া থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার মামলা হয়েছে ট্রাক সহ কয়লা জব্দ করা হয়েছে। আটক সুমনকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এর আগে সুমন শেখ অবৈধভাবে সার ও ডাল ক্রয় করে একাধিক বার ধরা খেলেও কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের সুপারিশে পার পেয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।