Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদক :
''প্রধানমন্ত্রী নিজেও যদি আমতলী কোন প্রোগ্রাম করেন তাহলে আমতলীর মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়" বলে বক্তব্য দেন বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছালাম মোল্লা। এমন বানোয়াট বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারিক আদালতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২০০৬ এর ৫৭(১) ধারায় ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেছেন বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালি সাকিনের মৃত মোসলেম হাওলাদারের ছেলে মো. আলতাফ হাওলাদার।
মামলায় আব্দুস ছালাম মোল্লাকে অভিযুক্ত করে মামলার বিবরনে বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচন উপলক্ষে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে নৌকা প্রতীকের এক সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন সারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমতলীতে আসেন, একটা প্রোগ্রাম করেন, তাহলে আমতলীর যিনি মেয়র, ওই মেয়রের কাছ থেকে তিনি পারমিশন নেন ওই তারিখের। এটা আপনারা জানেন কি-না জানি না? ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভা হলে তার (মেয়র) কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারপর প্রোগ্রাম সিলেক্ট হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার, সাবেক চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য মো. নাশির মোল্লা ও মতিয়ার রহমান হাওলাদারসহ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
এমন বক্তব্যের ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে এবং দ্রুত তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠে।
এ প্রসঙ্গে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, নৌকা প্রতীকের সভায় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বক্তব্যে দলের চেইন অব কমান্ড বুঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রোগ্রাম করতে হলে পৌর মেয়রের অনুমিত লাগবে এটা কেমন কথা!
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন এত বড় ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য তিনি কেন দিয়েছেন তা জানা নেই। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মানুষ ফোন দিয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো হয়েছে তারা যে পদক্ষেপ নিতে বলবেন সেই অনুসারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।